জেলা প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা: বিয়ের পর থেকেই স্ত্রী সালমা খাতুনকে অমানুষিক নির্যাতন করতেন স্বামী শাহাজাহান মোল্লা। দিন দিন এই নির্যাতনের মাত্রা বেড়েই চলেছে।
স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে গত শুক্রবার (৫ মার্চ) রাতে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান দুই সন্তানের জননী সালমা খাতুন। অনেক খুঁজেও স্ত্রীকে না পেয়ে রাতেই শাহাজাহান চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
শনিবার (৬ মার্চ) বিকেলে প্রযুক্তির সহায়তায় সালমাকে আলমডাঙ্গা উপজেলার বাদেমাজু গ্রাম থেকে উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ।
চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার দক্ষিণ গোরস্থানপাড়ার শাহাজাহান মোল্লার স্ত্রী সালমা খাতুন। তার কাছ থেকে স্বামীর নির্যাতনের বর্ণনা শুনে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বিষয়টি সমাধানের জন্য সদর থানায় নারী, শিশু ও বৃদ্ধ হেল্প ডেস্কে নিয়োজিত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। ডেস্কে নিয়োজিত কর্মকর্তা এসআই শাহনাজ সালমা খাতুনের বক্তব্যের সত্যতা পান।
পরে তিনি স্বামী শাহাজাহানকে কঠোরভাবে সতর্ক করেন। এতে নিজের ভুল বুঝতে পেরে ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ না করারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন শাহাজাহান। পরে পুলিশের মধ্যস্থতায় স্বামী-স্ত্রী উভয়ে ভবিষ্যতে সন্তানদের নিয়ে একটি সুন্দর পরিবার গঠন করবেন মর্মে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ খান বলেন, স্বামীর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে শুক্রবার রাতে বাড়ি থেকে পালিয়েছিলেন স্ত্রী সালমা বেগম। ঘটনার রাতেই একটি লিখিত অভিযোগ করেন তার স্বামী শাহজাহান মোল্লা। শনিবার বিকেলে প্রযুক্তির সহায়তায় সালমাকে আলমডাঙ্গা উপজেলার বাদেমাজু এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশের মধ্যস্থতায় তিনি স্বামীর ঘরে ফেরেন।